ক্যান্সারে কেড়ে নিলো চবি’র মেধাবী শিক্ষার্থী সাইমুম ইফতেখারের (২৭) প্রাণ। দীর্ঘদিন হাটু (বোন) ও ফুসফুসের ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।সাইমুম সাতকানিয়ার রুস্তমপাড়া এলাকার মমতাজুল হকের ছেলে। বুধবার (২৭ অক্টোবর) ভোরে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে চবির যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকে ভর্তি হন সাইমুম ইফতেখার। ২০১৫ সালে প্রথম সাইমুমের এক পায়ে ক্যান্সার ধরা পড়ে। ভারতের ভেলোরে অপারেশনের পর তার এক পা ফেলে দিতে হয়। এরপর কৃত্রিম পা নিয়ে চালিয়ে গিয়েছিলেন পড়াশোনা। স্নাতকের ফলাফলে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন তিনি।
প্রতি বছর কেমোথেরাপি ও চেক-আপের জন্য ভারতে যেতে হয় সাইমুমকে। কিন্তু করোনায় লকডাউনের কারণে এতে ছেদ পড়ে। যার কারণে সাইমুমের শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। একপর্যায়ে তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালে পরপর দুটি অপারেশন হয় তার। সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর অসুস্থ হয়ে পড়লে সাইমুমকে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয়।
তার মৃত্যুতে সমবেদনা জানিয়েছেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. শহিদুল হক। তিনি বলেন, সাইমুম একজন লড়াকু ও মেধাবী শিক্ষার্থী। তার মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সাইমুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
Leave a Reply